চরফ্যাসন প্রতিনিধিঃ
ভোলা চরফ্যাসন উপজেলা দক্ষিণ আইচা থানাধীন ঢালচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দলীয় অফিস ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় ভাবে জানা যায় ঢালচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার গ্রুপ ও আবুল কালাম বেপারী গ্রুপের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন চলমান রয়েছে।কিছুদিন আগে নতুন কমিটিতে আব্দুস সালাম হাওলাদার কে বাদ দিয়ে আবুল কালাম বেপারীকে আহবায়ক করার পর থেকেই সালাম হাওলাদার ও তার অনুসারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
ঢালচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক আবুল কালাম বেপারী জানান ঢালচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ দলীয় অফিসের সামনে একটি সরকারি ল্যাম্পপোস্ট ছিলো, চেয়ারম্যান এর ষড়যন্ত্রে সেই ল্যাম্পপোস্ট অন্য স্থানে সরিয়ে নিতে আসেন মোস্তফা কমান্ডার এতে স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে তিনি চেয়ারম্যান কে জানান, কিছুক্ষণ পরেই মাছ ঘাট এলাকা থেকে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে,ইকবাল,মিজান হাওলাদার,তৈয়ব হাওলাদার,রিপন,ইয়ামিন,বাবুল,শরীফ,মহিউদ্দিন,আক্কাস,মেহেদি,শাহিন,জুয়েল ও তার অনুসারীরা এসে মোস্তফা কমান্ডার সহ আওয়ামীলীগের দলীয় অফিসে থাকা লোকজনের উপর হামলা করে,এতে যুবলীগের সহ সভাপতি মোঃ এলাহি মেম্বার,ছাত্রলীগ সহ সভাপতি শাহ আলম, ছাত্রলীগ নেতা আঃ হালিম সহ অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন,পরে তাদেরকে উদ্ধার করে রাতেই চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
যুবলীগ সহ সভাপতি মোঃ এলাহি মেম্বার জানান চেয়ারম্যান তার ভাইদের কে দিয়ে ঢালচরে রাম রাজত্ব কায়েম করছেন,তার নির্দেশের বাহিরে কোন কাজ করার দুঃসাহস কেউ দেখাতে পারে না,আমরা দলীয় অফিসের সামনে থেকে সরকারি ল্যাম্পপোস্ট টি নিতে বাধা দেওয়ার কারণে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে দলীয় অফিসের মধ্যে ডুকে আমাদের উপর হামলা ও দলীয় অফিস ভাংচুর করেছে,আমি আমাদের ভোলা ৪ চরফ্যাশন ও মনপুরার উন্নয়নের মহানায়ক জনাব আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি মহোদয়ের কাছে জোর অনুরোধ করছি উপজেলা নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে সঠিক তদন্তের করে আমাদের উপর এই নেককারজনক হামলার বিচার দাবি করছি
এবিষয়ে চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার মোবাইল ফোনে জানান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট জেলেদের সুবিধার্থে ল্যাম্পপোস্টি অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে গেলে তারা আমার লোকজনের উপর হামলা করে এতে আমার চারজন লোক আহত হয়েছে দলীয় অফিস ভাংচুরের বিষয়ে জিগ্যেস করলে তিনি বলেন তারা ভাংচুর করে আমাদের লোকজনের কথা বলছে।
এবিষয়ে দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।