পলাশ চন্দ্র দাসঃ স্টাফ রিপোর্টার
শরতের আগমনে কাশ ফুলের শুভ্রতার শীষ দোলা আর একটু একটু শিশির বিন্দু জানান দিচ্ছে দুয়ারে নাড়ছে কড়া। বাঙালীর বৃহৎ উৎসব ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সকল জাতি ধর্মের অসাম্প্রদায়িক চেতনার উর্বর ভূমি বরিশালের দুর্গাপূজার মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। বরিশাল জেলায় এ বছর সর্বমোট ৫৯০ এবং নগরীতে ৪৪টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে। সরেজমিনে জেলার কয়েকটি মণ্ডপ ঘুরে ও অন্যান্য উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূজা উপলক্ষে তৈরি করা প্রতিমা গুলোর কাজ ইতোমধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই বাকি কাজ শেষে রং তুলির আঁচড়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে দুর্গা প্রতিমাগুলো। নগরীর কাউনিয়া মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কারিগররা জানান, হাতে সময় আছে প্রায় ১০ দিনের মতো। এর মধ্যে মাটির কাজ, রং, পোশাক এবং অলংকার পরানোর কাজ শেষ করে মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিমা বুঝিয়ে দিতে হবে।
তাই তারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নগরীর ভাটিখানা মন্দিরের প্রতিমা তৈরির এক কারিগর বলেন, দ্বিতীয় ধাপের মাটির কাজটি মূলত কঠিন ও দীর্ঘ সময়ের। আমরা ইতোমধ্যে সেটি শেষ করেছি। বাকি কাজ আট দিনের মধ্যেই শেষ হবে। পূজা উদয্যাপন পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মানিক মুর্খাজি বলেন, কমিটির প্রধানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে এবারের শারদীয় উৎসবকে বর্ণিলভাবে উদয্যাপন করা হবে। (মানিক মুখার্জি) দেয়া তথ্যমতে, অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও বরিশাল বিভাগের মধ্যে আগৈলঝাড়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ১৬১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও জেলার গৌরনদীতে ৮৪টি, উজিরপুরে ১১৬টি, বানারীপাড়ায় ৫৯টি, বাবুগঞ্জে ২৫টি, মুলাদীতে ১১টি, মেহেন্দিগঞ্জে ২৪টি, হিজলায় ১৫টি, বাকেরগঞ্জে ৭১টি ও বরিশাল সদরে ২৪টিসহ মোট ৫৯০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। যা গত বছরের তুলনায় ১৫টি বেশি। বরিশাল মহানগর পূজা উদয্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল দাস পাপ্পা বলেন, নগরীতে এ বছর মোট ৪৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে ৩৮টি সার্বজনীন ও ছয়টি ব্যক্তিগত। পঞ্জিকা মতে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মর্তলোকে দেবীর আগমনী বার্তা বেজে উঠেছে। ১ অক্টোম্বর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে দেবীর দুর্গার নবপত্র কল্পারম্ভ। ওইদিন মণ্ডপে মণ্ডপে বেজে উঠবে ঢাকঢোল আর কাঁসরের বাজনার শব্দ।
২ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ৩ অক্টোবর দেবীর মহাষ্টমী, ৪ অক্টোবর মহানবমী ও ৫ অক্টোবর দশমী বিহিত পূজা বিহীত সমাপনান্তে দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে দশহরার।