পলাশ চন্দ্র দাসঃ
বরিশাল নগরীর ভাটিখানা সতীদাহ প্রথার সহমরণ সমাধি মঠটি অন্ধকার যুগের ধর্মান্ধতা কুসংস্কার ও অমানবিক নিষ্ঠুর নির্মমতার সাক্ষী হয়ে আছে। নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী বসু বাড়ির প্রাচীন নিদর্শন এ সহমরণ মঠটি দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রাচীন সতীদাহ প্রথা অনুযায়ী স্বামী মারা গেলে স্ত্রীকেও একই চিতায় জীবন দিতে হতো। এই মঠটি তারই নিদর্শন।
ধর্মীয় গোঁড়ামী ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন সেই অন্ধকার যুগের স্মৃতিচিহ্ন সতীদাহ মঠটি সরকারিভাবে রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও যুব ঐক্য পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। বরিশাল নগরীর ভাটিখানা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী ঘোষের বাড়ির পুকুরপাড় রাস্তার পাশে ৮১ নং ভাটিখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে অবস্থিত মঠটি । স্থানীয়রা জানান আগে মঠের গায়ে নামফলক খোদাই করা ছিল।
সেখানে লেখা রয়েছে বিশ্বেশ্বর বসুর সস্মৃতি চিত্র সহমরণ সমাধি স্থাপিত ১৩৩৮ খ্রিস্টাব্দ। এ বিষয়ে বরিশাল নগরীর ভাটিখানার বাসিন্ধা সাবেক ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা রাজিব দাস দেবার কাছে জানাতে চাইলে তিনি বলেন। প্রায় ৯১ বছর আগে এ বাড়ির বিশ্বেশ্বর বসুর মৃত্যু হলে পারিবারিক শ্মশানে তার সৎকার করা হয়। ওই সময় প্রাচীন রীতি অনুযায়ী একই শ্মশানের একই চিতায় তার স্ত্রীকে সৎকার করা হয়।
বিশ্বেশ্বর বসুর সহমরণ হওয়ার পর এর নিদর্শন হিসেবে সেখানে মঠটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সহপরিবারে ভারতে বসবাস করায় ঐতিহ্যবাহী বসু বাড়ির সেই সহমরণ মঠটি অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে।
এলাকাবাসী মনে করে যেহেতু একটি সরকারি স্কুলের মাঠে অবস্থিত তাই
স্কুলের সভাপতি সদর উপজেলার চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু একটু নজর দিলে মঠটি পুনরায় রুপ ফিরে পাবেন ।