মাদারীপুর পৌর এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা স্থাপন। পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত পৌরসভার গেট হতে উকিলপাড়া,পানিছত্র ও ডনোভান স্কুলের মোড় পর্যন্ত এলাকার মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে সি.সি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার (৩১ আগষ্ট) বিকেলে উকিল পাড়া এলাকায় ১৬টি সি.সি ক্যামেরা স্থাপন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ। পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ বলেন, এই এলাকায় এক সময় সবচেয়ে বেশি ল’ইয়ার বসবাস করতো। সেই নামানুসারে এই এলাকার নাম হয়েছে উকিল পাড়া। তিনি আরও বলেন, কারও নিরাপত্তা সরকার দিতে পারবে না। সরকার একটি সিস্টেমের মাধ্যমে দিতে পারবে। সেই জন্য মানুষের সহায়তা লাগবে। তিনি আরও বলেন, আপনার ভাড়াটিয়ার ছবিসহ আইডি কার্ড তথ্য উপাত্তের তালিকা করে থানায় দিবেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা ব্যবস্থা এটা। আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা ক্যামেরা স্থাপন করবো। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে সি.সি ক্যামেরা স্থাপন এটা ভালো একটা দিক। দেখবেন বাড়ির দারোয়ান কিন্ত বেইমানি করে, আমি হয়ত বেইমানি করি, আমার পুলিশ করে কিন্তু সি.সি ক্যামেরা বেইমানি করে না। ওহ কিন্তু বেইমানি করবে না, ওহ কিন্তু খাবে না, ঘুমাবে না। অতএব, সি.সি ক্যামেরা একটা ভালো দিক। আয়োজকরা জানান, মাদারীপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের শহীদ সূর্য সড়কের উকিলপাড়া এলাকার আবাসিক বাসিন্দাদের নিজস্ব অর্থায়নে প্রাথমিকভাবে ১৬টি স্পটে ১৬টি সি.সি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে পৌরসভার গেট হতে উকিলপাড়া, আলহেরা মসজিদ পানিছত্র ও ডনোভান স্কুলের মোড় পর্যন্ত এর আওতায় আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ক্যামেরার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। অপরাধ প্রবণতা ও চোরের উপদ্রব ঠেকাতে যুব সমাজের এই উদ্যোগ। সাবেক যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আলী আহসান আনোয়ার এর সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা কাউন্সিলর বিনু আক্তার, কাউন্সিলর রাজিব মাহমুদ কাউছার, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো: আমীরুজ্জামান আমীর বাবু, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেহেনা পারভিন লিপা, যুবলীগের সভাপতি আতাহার সরদার, সহ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুম, ব্যবসায়ী রাসেদ আহমেদ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ অনেকেই। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুবলীগের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল হক মামুন।