মহানগর ডেস্কঃ
এনপি, আওয়ামী লীগ, গণঅধিকার পরিষদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশেসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল একই দিনে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীতে সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এ অবস্থায় জননিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে রাজধানীজুড়ে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের করা হবে। সাদা পোশাকে বিপুলসংখ্যক গোয়েন্দা ছাড়াও র্যাব সদস্যরাও মাঠে থাকবেন বলে জানা গেছে।
তথ্যমতে, গত ২২ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ থেকে ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। এরপর আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগও একইদিনে শান্তি সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। দলটি দাবি, মহাসমাবেশের নামে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে। তাই ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে দলীয় নেতাকর্মীরা পাহারায় থাকবে।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ছাড়াও রাজধানীতে বৃহস্পতিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণফোরাম (মন্টু নেতৃত্বাধীন), ১২ দলীয় জোট, ১১ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লেবার পার্টি, গণতন্ত্র মঞ্চ, বাম গণতান্ত্রিক জোট, গণঅধিকার পরিষদসহ আরও কিছু রাজনৈতিক দল সমাবেশ করবে। বিশেষ করে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে এক ধরনের শঙ্কার পরিবেশ বিরাজ করছে। এ অবস্থায় জননিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকেই রাজধানীর চেক পোস্টগুলোতে ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হবে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চৌকি এবং ঢাকার প্রধান প্রবেশদ্বারগুলোতে মেটাল ডিটেক্টরসহ অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানো হবে। এ ছাড়া নিরাপত্তা জোরদারে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি থাকবেন সাদা পোশাকে কর্মকর্তারাও।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সমাবেশ ঘিরে যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। কেউ যেন অবৈধ অস্ত্র বা নাশকতা সৃষ্টির মত সামগ্রী নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে প্রবেশদ্বারগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কেউ যেন অস্ত্র বা বিস্ফোরকদ্রব্য বহন করতে না পারে সেদিকে পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। রাজধানীতে নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ওয়ার্কিং ডে’তে বিশাল বিশাল জনসভা করে লাখ লাখ লোককে রাস্তায় আটকে রাখার মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যেন জনগণের ভোগান্তি না হয়, হলে বাধ্য হয়ে এসব কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হতে পারে।
তিনি বলেন, যারা সমাবেশে আসবেন তারা যেন লাঠিসোঁটা বা ব্যাগ না নিয়ে আসেন। যেন বিস্ফোরক বা সাপোর্টাইজ না থাকতে পারে। জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকবে।