Thursday , 6 October 2022 | [bangla_date]
  1. Development By Sahon Srabon
  2. অন্যান্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. চাকরির খবর
  6. জাতীয়
  7. তথ্য ও প্রযুক্তি
  8. বিনোদন
  9. রাজনীতি
  10. শোকাহত
  11. সারাদেশ

ভোলায় বাঁশশিল্প বিলুপ্তির পথে

স্টাফ রিপোর্টারঃ
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার জনপ্রিয়তায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বাঁশশিল্পে ধস নেমেছে। ফলে এ শিল্পে জড়িতরা পড়েছেন বেকায়দায়। অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছেন এবং বাধ্য হয়ে অনেকে ছাড়েন এই পেশা। ভোলায় বিলুপ্তির পথে এই বাঁশশিল্প।
তাঁরা চাচ্ছেন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। বিক্ষিপ্তভাবে সহযোগিতার সুযোগ নেই বলে বলছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সুযোগ এলে তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।

সরেজমিন দেখা গেছে, ভোলায় বর্তমানে বাঁশশিল্পের চাহিদা কমেছে। বেড়েছে প্লাস্টিকসামগ্রীর ব্যবহার। এর সঙ্গে কারিগরেরা পাচ্ছেন না পণ্যের ন্যায্যমূল্য। ফলে বাঁশের তৈরি পণ্য দিন দিন যাচ্ছে হারিয়েছে। কারিগরেরা পেশাও পরিবর্তন করছেন। অথচ একসময় গ্রাম থেকে শহরের ঘরগুলোয় বাঁশশিল্পের পণ্য সাজাতে দেখা যেত। এখন সেখানে জায়গা করে নিয়েছে প্লাস্টিকপণ্য। প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাব, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়া, বাঁশের উপকরণের দাম বৃদ্ধি, প্লাস্টিকপণ্যের সহজলভ্যতায় বাঁশশিল্প বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। এতে বাঁশের তৈরি সামগ্রীর কারিগরেরা এখন অস্তিত্ব সংকটে।
জেলার সর্বদক্ষিণের উপজেলা চরফ্যাশনের বিভিন্ন হাটবাজারে বাঁশশিল্প নিয়ে বসে রয়েছেন বিক্রেতা। কিন্তু ক্রেতার দেখা নেই। চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় বাঁশের তৈরি সামগ্রী বিক্রি করতে আসা মো. শাজাহান সোয়াল বলেন, একসময় বাঁশ দিয়ে বানানো মাছ রাখার খলই, ডুলি, চালা, ঢাকি কুলা, খাঁচা, চলনি, চাটাই, ঝুড়ি পলো, ডারকির খুব চাহিদা ছিল। তখন এসব সামগ্রী বাজারে আনার পর ক্রেতা সামলাতে হিমশিম খেতে হতো। লাভও হতো। তাতেই সংসার চলত স্বাচ্ছন্দ্যে। কিন্তু এখন হাটে আসা-যাওয়ার ভ্যানভাড়াই ওঠে না। সংসারের খরচ তো পরের কথা। আগে প্রতি হাটে ৩-৪ হাজার টাকা বিক্রি হতো। বর্তমানে হয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।
নয়া মিয়া ব্যাপারী বলেন, বাঁশশিল্পের মতো দেখতে প্লাস্টিকপণ্য বানাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ওইসব পণ্যই ক্রয় করেন ক্রেতারা। এই জন্য বাজারে বাঁশের তৈরি পণ্যের ক্রেতা নেই বললেই চলে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাঁশশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারেন।
জানতে চাওয়া হলে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাঁশের তৈরি সামগ্রীর আদলে প্লাস্টিকের পণ্য বানাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ কারণে বিপাকে পড়েছেন এ পেশার মানুষ। তবে বিচ্ছিন্নভাবে তাঁদের সহযোগিতা করার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি সহায়তা দেওয়ার সুযোগ থাকলে তা অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

সর্বশেষ - অন্যান্য

আপনার জন্য নির্বাচিত

রূপসার ঘাটভোগে ইউনিয়নে ৩ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

কুমিল্লা লাকসামে আজকালের সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা: বিএমএসএস -এর নিন্দা ও প্রতিবাদ।

গলাচিপায় ১৪থশ চাষীদের বিনা মূল্যে আমন ধানের বীজ ও সার বিতরণের শুভ উদ্ধোধন।

ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন ২ মে

প্রতিমার র্পূণ রুপ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎ শিল্পীরা

সাপাহারে প্রতিদিন লাখ টাকার চারা বাণিজ্য

ভোলা – ৪ আসনের সর্বস্তরের জনগণ সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ তানিন খান কে এমপি হিসাবে চান।

মাদারীপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

সপ্তাহব্যাপী উপাচার্য ঢাকায়, ব্যহত অফিস কার্যক্রম

শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আত্মহত্যার হাতথেকে রক্ষা করতে হবে।