পলাশ চন্দ্র দাস::স্টাফ রিপোর্টার//
ক্ষনে ক্ষনে উলুধ্বনি, শঙ্খ, কাঁসর আর ঢাকের বাধ্য,জানিয়ে দিচ্ছে শুরু হয়ে গেছে বাঙ্গালি সনাতনধর্মীয়দের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা। প্রতি বছরের ন্যায় এবছর বরিশাল মহানগরে সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরের দুর্গা পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আজ সোমবার অষ্ঠমী পূজার মাধ্যমে। পূজা শেষ হবে ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে। পুজোর দিনগুলোতে করোনা থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। এই ৫ দিনে পূজার সময় দেবী দুর্গার ভোগপ্রসাদ বিতরণ এবং বিজয়ার শোভাযাত্রা করা হবে।বরিশালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ বরিশালের পুজা মন্ডপ গুলোতেও নেওয়া হয়েছে দুর্গোৎসবের জমজমাট প্রস্তুতি। শনিবার সন্ধ্যাবেলায় দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে অকালবোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবার মা আসছেন গজে আর চলে যাবেন নৌকায়।
ঢাক-ঢোল আর কাঁসার বাদ্যে শুরু হলো দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা সপ্তমী তিথীতে নবপত্রিকা স্নান ও সিদ্ধিদাতা গণেশের পাশে কলাবউ স্থাপন করা হয়েছে। এইদিনেই প্রাণ সঞ্চার করা হবে দেবীর মৃন্ময়ীতে। সোমবার মহা অষ্টমী তিথিতে সনাতনী নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ সকলে মিলে দেবীকে পুষ্পাঞ্জলি দেবে। এইদিনই হবে সন্ধীপূজা মাতৃরূপে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা কল্পনা করে জগজ্জননীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করে হবে কুমারী পূজা। শাস্ত্রমতে এদিন পূজিত কুমারী কন্যার নামকরণ করা হয় দেবীর ৬ষ্ঠ রূপ ‘উমা। ভক্তদের মতে এটি একাধারে ঈশ্বরের উপাসনা মানববন্দনা আর নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। মূলত নারীর সম্মান, মানুষের সম্মান আর ঈশ্বর আরাধনাই কুমারী পূজার অন্তর্নিহিত শিক্ষা।
নবমীতে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবীর মহা প্রসাদ বিতরণ করা হবে। ৫ই অক্টোবর দশমী তিথিতে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হবে দেবী দুর্গাকে। আর দেবীর এই আগমনকে ঘিরেই ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশালের সকল পূজা সংশ্লিষ্টরা। বরিশাল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মানিক মুখার্জী জানান,এবার বরিশাল জেলা ও মহানগরে মোট ৬৪৫ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে। অধিকাংশ মন্ডপে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা ও কঠোর নিরাপত্তা ।করোনার কারণে গত দুই বছর সীমিত পরিসরে উৎসব হলেও এবারের প্রস্তুতি বেশ জাঁকজমকপূর্ণ। কাউনিয়া সার্বজনী পূজা মন্দির কমিটির সাধারন সম্পদক পলাশ দাস বলেন, গত দুই বছর করোনার কারণে দুর্গাপূজার আনন্দ ভালোভাবে উপভোগ করা যায়নি। এবার প্রকোপ কম থাকায় সুন্দর পরিবেশে পূজা উদযাপন করা যাবে। প্রশাসন ও স্বেচ্চাসেবকদের সমন্বয়ে শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপন হবে বলে তিনি মনে করেন।