একে তো বর্ষা মৌসুম, তার ওপর নেই বয়াবাতি ও বিকন। রয়েছে ডুবোচর এমনকি নাব্য সংকটও। এতে ঝুঁকি নিয়েই সারাদেশে চলাচল করছে লঞ্চ। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় মাস্টার সুকানিরা।
সম্প্রতি বরিশালে এক সুধী সমাবেশে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী স্বীকার করেন ঝুঁকিপূর্ণ নকশার লঞ্চ দেশের বিভিন্ন নদীতে চলাচল করছে। তবে রাতারাতি তা বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে পর্যায়ক্রমে অপসারণ করা হবে সেগুলো।
নিরাপদ নৌপথ নিয়ে লঞ্চের মাস্টার সুকানিদের রয়েছে একাধিক অভিযোগ। বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটের বেলতলা, হিজলা-বাবুগঞ্জ, মেহেন্দিগঞ্জ, মেঘনা নদীসহ বিভিন্ন নৌপথের অন্তত ৩০ পয়েন্টে নাব্য সংকট রয়েছে।
আবার ঢাকা-বরিশালের পদ্মা, মেঘনা, চাঁদপুর, পাতারহাট, ইলিশা, মজুচৌধুরীহাট রুটের অনেক জায়গায় বয়াবাতি বিকন নষ্ট থাকায় ঝুঁকি নিয়েই লঞ্চ চালাতে হয় চালকদের।
পর্যাপ্ত ড্রেজিং না হওয়ায় নাব্য সংকটে বিকল্প চ্যানেল ঘুরে গন্তব্যে যাওয়ায় নৌযানগুলোকে বাড়তি খরচ গুনতে হয় বলে দাবি লঞ্চ মালিকদের।
সুরভি গ্রুপ কোম্পানির পরিচালক রিয়াজ উল কবির বলেন, ঢাকা-বরিশাল, মেঘনা, পদ্মা, চাঁদপুর পর্যন্ত পর্যাপ্ত বয়াবাতি নেই। আমরা নিজস্ব চালকদের অভিজ্ঞতা দিয়ে দীর্ঘদিন পরিচালনা করতেছি।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৩০টি পয়েন্টে ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং ২১ লাখ ঘনফুট বালু অপসারণে ড্রেজিং করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ও নদীপথ নিরাপদ রাখতে সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রশিক্ষিত লোকবল এবং নিরাপদ জলযানের ডিজাইন ছাড়া কোনো লঞ্চ নদীতে নামতে পারবে না।
ঢাকা বরিশাল নদীপথের দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। আর বরিশাল অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ নদীপথ রয়েছে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার। এর এক তৃতীয়াংশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে দাবি লঞ্চ মালিক শ্রমিকদের।