নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল সদর উপজেলার ১০ নং চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের টুমচর বাজার সংলগ্ন খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শাজাহান চৌকিদার ও হালিম মাস্টারের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টুমচর বাজারের পাশেই একটি প্রাইমারি স্কুল রয়েছে যাহার সামনেই অবস্থিত রাস্তা ও খাল। দখলকারিরা রাস্তার পাশে খালের উপরে স্থায়ী পিলার নির্মাণ করে অবৈধ ভবন নির্মাণ করতেছে। কাজের দায়িত্বে থাকা শাজাহান চৌকিদারের ছেলে বাদশার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা এসিল্যান্ড অফিস থেকে ডিসিআর কেটে অনুমতি নিয়ে ভবন নির্মাণ করতেছি। তার কাছে জানতে ভবনের স্থাপনা নির্মাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ডিসিআর এর কথা বলেন। ডি সি আর দেখতে চাইলে বাদশা অনেক গরীমসি করে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়এবং একপর্যায়ে ডিসিআর এর কাগজটি দেখায়। যাহাতে দেখা যায় উক্ত কাগজের মেয়াদ ২০২১ সালেই শেষ হয়েছে। পরে তিনি সাংবাদিকদের ঘুষ দিতে চাইলে সাংবাদিকরা তা প্রত্যাখ্যান করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
একই স্থান সংলগ্ন আরেকটি নির্মানাধীন ভবনের মালিক হালিম মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে অযাচিত ব্যবহার করেন ও দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। হালিম মোবাইল ফোনে আরো বলেন, আপনাদের মত সাংবাদিক আমি টাকা দিয়ে কিনে রাখি। অন্য কোন কাজ জুটেনি তাই ক্যামেরা হাতে নিয়ে সাংবাদিক সেজেছিস”, “তুই আমার নামে নিউজ করে যা পারিস কর” – এসব বলে হুমকি দেয় হালিম মাস্টার, যাহা সাংবাদিক দের কাছে রেকর্ডিং অবস্থায় রয়েছে। তিনি স্থানীয় মজিদ খাঁ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ১১২নং ভেদুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামানকে জানানো হলে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। এবং বলেন ডিসিআর এর কাগজ থাকলেও কেউ স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবেন না।