স্টাফ রিপোর্টারঃ বরিশাল মাহমুদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে, সহকারী শিক্ষিকাকে ছুটি না দেওয়ায়, বাচ্চা নষ্ট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
অভিযোগ জানান, মাহমুদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসম্মাৎ
নাসরীন সুলতানা। তিনি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ক্লাস করায়।
গত (১সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুরে মেডিনোভায় ১১টার সময় সিরিয়ালে চিকিৎসার নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষিকা মোসম্মৎ মাহামুদা খাতুন এর কাছে ছুটির জন্য অনুরোধ করেন। এছাড়াও তিনি আরও বলেন,স্কুল চলাকালীন সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে।
সহকর্মী শিক্ষিকারা বিষয়টি দেখে ছুটির জন্য প্রধান শিক্ষিকার কাছে অনুরোধ করলেও তিনি কোনো সাড়াশব্দ দেয়নি।
পরবর্তীতে সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নাসিমা বেগমকে বিষয়টি জানালে তিনি সামছুর নাহার রুজি মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য ছুটি দিতে বলেন,কিন্তু তার কথাও তোয়াক্কা করেননি প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা খাতুন।
প্রধান শিক্ষিকা মাহমুদা খাতুনের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ থাকলেও, তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা মোসাম্মৎ মাহমুদা খাতুন বলেন, স্কুল চলাকালীন সময়ে সে আমার কাছে ছুটি চাইছিলো। কিন্তু আমার স্কুলে শিক্ষক সংখ্যা কম আছে। তাই তাকে আমি ছুটি দিতে পারি নাই
,আমরা দুপুরে একসাথে নামাজ আদায় করছি, কিন্তু সে অন্তঃসত্ত্বা বিষয়টি আমাকে জানায় নি। সে আমাকে বলছে যে ডাক্তার দেখাতে যাবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাসিমা বেগম বলেন, সাময়িক ১ঘন্টা নাসরীন সুলতানাকে ছুটি দেওয়ার জন্য, প্রধান শিক্ষিকা মাহামুদা খাতুনকে অনুরোধ করি,কিন্তু সে আমাকে ব’লে স্কুলে শিক্ষক সংখ্যা কম আছে তাকে আমি ছুটি দিতে পারবো না,আমি বললাম তার প্যাটে ব্যাথা করতে আছে তাকে ছুটি দিয়ে দিন, কিন্তু সে আমাকে বলে আমায় মাফ করেন, আমি তাকে ছুটি দিতে পারবো না।