Saturday , 9 July 2022 | [bangla_date]
  1. Development By Sahon Srabon
  2. অন্যান্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. চাকরির খবর
  6. জাতীয়
  7. তথ্য ও প্রযুক্তি
  8. বিনোদন
  9. রাজনীতি
  10. শোকাহত
  11. সারাদেশ

বিশ্ব মুসলিমের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের একটি ঈদুল আযহা।

ডেস্ক রিপোট ॥বছর ঘুরে বাংলাদেশের মুসলমানদের দুয়ারে আত্মত্যাগ ও খুশির বার্তা নিয়ে আবারো হাজির হয়েছে অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। বিশ্ব মুসলিমের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের একটি ঈদুল আযহা। রোববার (১০ জুলাই) সারা দেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদার মধ্যদিয়ে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। ঈদ মোবারক! পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দেশবাসীর উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দও পৃথক পৃথকভাবে দেশবাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে।

গতবারের মতো এবারও করোনার বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করবেন মুসলমানরা। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস রোধে ধর্ম মন্ত্রণালয় এবারো ৮ দফা নির্দেশিনা জারি করেছে।

পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে কোনও ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না। প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে ঈদগাহে ও মসজিদে আসতে হবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদ ও ঈদগাহের ওজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদ অথবা ঈদগাহে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে। পশু কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ অনুয়ায়ী পশু কুরবানি করবেন। নামাজ শেষে মুসল্লিদের অনেকেই যাবেন কবরস্থানে। চির বিদায় নেয়া স্বজনদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অশ্রুসজল চোখে এই আনন্দের দিনে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে আকুতি জানাবেন।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য এবং তারই রাহে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে পালিত হয়ে আসছে ঈদুল আযহা। হযরত ইবরাহিম (আ.) এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে কোরবানি প্রচলিত হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে ঈদুল আযহার এই উৎসব। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর পূর্বে হযরত ইবরাহিম (আ.) তার প্রাণপ্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ.)কে কোরবানি করার ঘটনার স্মরণে কোরবানি প্রচলিত হয়। পুত্র কোরবানির পরীক্ষায় হযরত ইবরাহিম (আ.) উত্তীর্ণ হয়েছিলেন এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে খলিলুল্লাহ উপাধি পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি যতদিন জীবিত ছিলেন, ততদিন প্রতিবছরই পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহপাকের আনুগত্যের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও আদিষ্ট হয়ে প্রতিবছরই পশু কোরবানি করেছেন এবং তার উম্মতের জন্য এ আদর্শ ও প্রথা অনুসরণের কঠোর নির্দেশ দিয়ে গেছেন। যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব তাদের জন্য কোরবানি করা বাধ্যতামূলক। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যাদের ওপর ওয়াজিব তারা কোরবানি না করলে যেন ঈদগাহে গমন না করে। তিনি আরও বলেছেন, কোরবানির দিন কোনো ব্যক্তির কোরবানির পশুর রক্ত ঝরানোর মতো আল্লাহপাকের কাছে অধিক প্রিয় ও পছন্দনীয় কাজ আর কিছু নেই।
কোরবানিকে আল্লাহ এবাদত হিসেবে নির্দেশ করেছেন। পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশের প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য প্রদর্শন করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করাটাই উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্য যথাযথভাবে অর্জিত হলে কোরবানি করা সার্থক হয়ে থাকে। আল্লাহপাক সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন ‘আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না এর (পশুর) গোশত ও রক্ত বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।’ কোরবানির জন্য হযরত ইবরাহিম (আ.)-এর ত্যাগ ও আত্মসমর্পণের আদর্শ। তিনি পুত্র ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করতে উদ্যত হলে আল্লাহপাক তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে হযরত ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে হযরত জিবরাইল (আ.) এর মাধ্যমে দুম্বা উপস্থিত করেন এবং দুম্বা জবাই হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে যে নজির হযরত ইবরাহিম (আ.) রেখে গেছেন, মানব ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ মিল্লাতে ইবরাহিমের জন্য এক মহান আদর্শ, এ গৌরবের স্তম্ভ। এ উৎসবে ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক তাৎপর্য যেমন রয়েছে, তেমনি পারিবারিক, সামাজিক ও মানবিক নানা কল্যাণকর দিকও রয়েছে। সৌভ্রাতৃত্ব, ঐক্য সংহতি, বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা সহানুভূতি প্রকাশের এক দুর্লভ সুযোগ এনে দেয় এই ঈদ।
কোরবানি অর্থ ত্যাগ এবং ত্যাগের মহিমার মধ্যদিয়ে সামর্থ্যবানরা পশু কোরবানি করেন। এই কোরবানির একটি অংশ দরিদ্রদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। ধনী-দরিদ্র সকলেই যাতে সমভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সেজন্য ইসলামে সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। কোরবানির গোশতের ভাগ বাটোয়ারা করার ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান মানতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য মুসলমান অভাব ও দারিদ্র্যের মধ্যে অসহায় অবস্থায় দিন অতিবাহিত করছে। ইরাক-আফগানিস্তানসহ বহু দেশে মুসলমানরা সা¤্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে। তাদের কাছেও ঈদুল আযহা উপস্থিত। কোরবানির শিক্ষা নিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ব মুসলিমকে আরও সচেতন হতে হবে, সক্রিয় হতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং আত্মরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রায় চার হাজার বছর আগে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইব্রাহিম (আ.) নিজ পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)’কে কোরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে বিশ্বব্যাপি মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করে থাকে।
আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য আল্লাহ কোরবানি ফরজ করে দিয়েছেন। এ জন্য ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোরবানি করাই এ দিনের উত্তম ইবাদত। সেই ত্যাগ ও আনুগত্যের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সারাদেশের মুসলিম সম্প্রদায় রোববার দিনের শুরুতেই মসজিদে সমবেত হবেন এবং ঈদুল আজহার দু’রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। নামাজের খুতবায় খতিব তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য। তবে এবার করোনা ও বন্যার মতো দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে ভিন্ন পরিবেশে কুরবানীর ঈদ হওয়ায় অন্যান্য বারের চেয়ে পশু কোরবানি কিছুটা কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদযাপিত হলেও পরের দুই দিনও পশু কোরবানি করার বিধান রয়েছে। সামর্থবান মুসলমানদের জন্য কোরবানি ফরজ হলেও ঈদের আনন্দ থেকে দরিদ্র দুঃস্থরাও বঞ্চিত হবেন না। কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির সমুদয় অর্থ এবং কোরবানি দেয়া পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ তাদের মধ্যে বন্টন করে দেয়া হবে।
আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণ এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমেই আল্লাহর সন্তুষ্টি ও কামিয়াবি হাসিল করা সম্ভব। পশু কোরবানির সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি মুসলমানের ভেতরের পশুত্বকে কোরবানি করে আল্লাহর পথে, আল্লাহর সন্তুষ্টি, নৈকট্য ও অনুগ্রহ লাভের জন্য সর্বোচ্চ নিষ্ঠার পরিচয় দিতে হবে।

শেয়ার করুন

সর্বশেষ - অন্যান্য

আপনার জন্য নির্বাচিত

ভোলা চরফ্যাশনে এমপিও বঞ্চিত কলেজ শিক্ষকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ।।

কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে শতাধিক হাসপাতালে

০৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্মদিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, আমরা ১০নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ,বরিশাল মহানগর।

ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদে পঙ্গু ও ভিক্ষুক খোরশেদ কে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

আশুলিয়ায় দক্ষিণ অঞ্চল সাংবাদিক ইউনিয়নের মতবিনিময় সভা ।

রাজাপুরে চাষীদের বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

বাঘায় বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

চরফ্যাশনে প্রবাসীর পরিবারের উপর হামলায় আহত-৮ ঘর থেকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা নিষেধ

কালকিনিতে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলায় ১০টি বসতবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ