মাদারীপুরের কালকিনিতে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় ১০টি বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তাদের বাধা দিলে দুই নারী আহত হন। পরে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার এনায়েতনগর ইউপি নির্বাচন বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ৭ নং ওয়ার্ড থেকে ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বেলায়েত সরদার ও মো. জাহাঙ্গির সরদার। এতে মো. জাহাঙ্গির সরদারকে পরাজিত করে বেলায়েত সরদার বিজয়ী হন। কিন্তু জাহাঙ্গির সরদার পরাজিত হয়ে বিজয়ী প্রার্থী বেলায়েত সরদারের লোকজনের ওপর ক্ষুব্ধ হন। এক পর্যায়ে বুধবার রাতে পরাজিত প্রার্থী জাহাঙ্গির সরদারের নেতৃত্বে এনামুল আকন, রুহুল আমিন আকন, মেহেদী আকন, সজীব সরদার, সফী আকনসহ প্রায় ২০-৩০ জন মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিজয়ী প্রার্থী বেলায়েত সরদারের সমর্থক সোহরাফ বেপারী, ফরহাদ বেপারী, খোকন বেপারী, হেদায়েত বেপারীরসহ ১০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় তাদের বাধা দিলে ফাতেমা (৬০) ও রিমা আক্তার (২০) আহত হন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ফরহাদ বেপারী, হেদায়েত বেপারী, খোকন বেপারী বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে বিনা কারণে জাহাঙ্গির তার দলবল নিয়ে আমাদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুট করেছে। আমরা তাদের বিচার চাই।
এ ঘটনার পর অভিযুক্ত পরাজিত প্রার্থী মো. জাহাঙ্গিরকে এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। এছাড়া তার ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে কালকিনি থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
নবনির্বাচিত এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শিরাজুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষকে থামিয়ে দিয়েছি। দুই পক্ষকেই মিমাংসা করে দেব।