স্টাফ রিপোর্টারঃ
দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ভোলার সবচেয়ে বড় আয়োজনে পৌর মহাশ্মশানে শুরু হয়েছে ২দিন ব্যাপী দিপাবলি উৎসব। এটি ৯২তম দিপাবালি উৎসব বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। রোববার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ উৎসব শুরু হয় এবং শ্যামাপূজার মধ্যদিয়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে এ আয়োজনের সমাপ্তি ঘটবে। এ উৎসবকে ঘিরে যেমনি রয়েছে আনন্দ-স্মৃতিচারণ তেমনি রয়েছে বেদনা-কষ্ট।
মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনায় স্বজনরা ফুল, মোমবাতি, ধুপকাঠি ও ফল নিবেদন করে প্রার্থনা করেন। এ উৎসবে হাজারো দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে।
জানা গেছে, ১৯৩২ সালে ভোলা শহরের চরনোয়াবাদ এলাকায় পৌর শ্মশান প্রতিষ্ঠার পর থেকে বড় আয়োজনে দীপাবলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
এ বছর বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসছেন হাজার হাজার ভক্ত। তাদের পথচারনায় মুখরির শ্মনান প্রাঙ্গন। সমাধিতে মোমবাতি, ধূপকাঠি ও প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়। একই সাথে করা মৃত ব্যক্তির প্রার্থনা।
দর্শনার্থী ঝুমা চক্রবর্তি, বৃষ্টি রানী, উত্তম ও শ্যামলসহ অনেকেই জানান, আমরা এখানে প্রতি বছরই আসি, এ বছরও আসছি। এখানে এসে স্বজনদের আতœার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করেছি।
২ দিনের এ আয়োজনে ভক্তিমূলক গান, নাম কিত্তন ও প্রসাদ বিতরণসহ নানা আয়োজন রয়েছে। রয়েছে বৃহৎ আয়োজনে শ্যামা মায়ের পুজাও। প্রতি বছরের মত এবছরও ভক্তদের ঢল নেমেছে বলে জানান আয়োজকরা।
জেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও পৌর শ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক অসীম সাহা বলেন, প্রতি বছর ভালো আয়োজন হয়। এ বছরও হয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে দর্শনার্থী কিছু কম। তবে দুইদিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানে ১০ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বলেন, যাতে সনাতণ ধর্সালস্বীরা সুন্দরভাবে উৎসব উদযাপন করকে পারে সে বন্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ এবং স্থায়ীভাবেও পুলিশ রাখা হয়েছে। আমরা আশা করি শ্মশানে হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসব পালন করবেন।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে পুজার মধ্যদিয়ে শেষ হচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের এ উৎসব।